উজ্জয়ন্ত প্রাসাদ, ত্রিপুরা আগরতলা. Ujjayanta Palace Tripura Agartala. NE north East best and big museum of india.

কথিত আছে ভারতের উত্তর পূর্ব রাজ্য গুলি হলো সাত টি বোন । এর মধ্যে ত্রিপুরা হলো সেই সাত টি বোনের মধ্যে একটি বোন
                 



                             উজ্জউন্ত প্রাসাদ

         

উত্তরপূর্ব ভারতের প্রথম 100 ফুট উচ্চ মস্ত জাতীয় পতাকা (এইচএমএনএফ) বুধবার (১০ ই জানুয়ারি ২০১৮) ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় স্থাপিত হয়েছিল।

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার উদজায়ান্ত প্রাসাদের সামনে মহাসাগরীয় জাতীয় পতাকা উন্মোচন করেন - ত্রিপুরার সাবেক রাজপ্রাসাদ এবং বর্তমানে এটি উত্তর-পূর্ব ভারতের বৃহত্তম জাদুঘর।
             

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস কর্পোরেশন (ওএনজিসি) এবং নিউ দিল্লি ভিত্তিক ফাস্ট ট্র্যাক ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি যৌথভাবে 15.89 লাখ টাকা ব্যয়ে এইচএমএনএফ স্থাপন করেছে।


               

উত্তর-প‚র্ব ভারতের সবচেয়ে সমৃদ্ধ জাদুঘর উজ্জয়ন্ত প্রাসাদ। ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলার প্রাণকেন্দ্রে শ্বেত শুভ্র প্রাসাদটি ২০একর জমির ওপর স্থাপিত। স্থানীয়রা রাজবাড়ি নামেই ডাকেন। পরিস্কার পরিচ্ছন্ন প্রাসাদ এটি।

                       

১৯০১ সালে তৎকালীন রাজা রাধা কিশোর মানিক্য এটি তৈরি করেন।
প্রাসাদের বাইরে দুটি বড় দিঘি রয়েছে।
কষ্টিপাথরের স্তম্ভ দু’টিতে চোখ না আটকে পারেই না। বহুভূজী নিরেট শরীরে দেব-দেবীদের মূর্তি উৎকীর্ণ। সঙ্গে নানা ধরনের নকশা। দেড় মানুষ সমান উঁচু হবে একেকটি। ওজন কতো মণ করে কে জানে? খোলা আকাশের নিচে সুন্দর করে সাজিয়ে রাখা স্তম্ভ দু’টি গোমতী জেলার অমরপুরে পাওয়া। এখন সাজিয়ে রাখা হয়েছে উজ্জয়ন্ত প্রাসাদের সামনে।
 
               
(অমরপুর এর গম্বজবিশিষ্ট)

দেশী-বিদেশী পর্যটকরা নিয়মিত এখানে বেড়াতে আসেন। প্রাসাদের নিচ ও দ্বিতীয়তলায় রয়েছে সুন্দর পরিপাটি জাদুঘর। জাদুঘরটিতে আছে সারা ভারত এবং সেভেন সিস্টার্সের রাজ্যগুলোর বিভিন্ন যুগের প্রতœতত্ত¡, চারু ও কারু শিল্পের অনেক নিদর্শন। প্রদর্শিত প্রতœবস্তুর পাশে বাংলা ও ইংরেজির পাশাপাশি ত্রিপুরা জাতির নিজস্ব ভাষা ককবরক এ বিবরণ লেখা। জাদুঘরের গ্যালারিতে সাজানো আছে বিভিন্নস্থানে পাওয়া অনেক প্রস্তর মূর্তি, গাছের জীবাশ্ম, প্রেট্রোলিয়াম আর প্রাকৃতিক গ্যাসের মানচিত্র। প্রতœতাত্তি¡ক খননে পাওয়া সোনা, রূপা আর তামার মুদ্রাও আছে। মৃৎশিল্পের পাশাপাশি পোড়ামাটি ও ব্রোঞ্জ নির্মিত মূর্তি। আদিম যুগের বেশ কিছু শিলালিপি গ্যালারিতে সাজানো। তৈল চিত্র এবং বস্ত্র আর অলঙ্কার। সংস্কৃত মহাকাব্যের সংগ্রহও আছে এখানে। দীর্ঘ সময় ত্রিপুরা শাসন করা মাণিক্য রাজবংশের রাজাদের চিত্র ও ইতিহাস। গ্যালারিতে প্রতœতত্ত¡, উপজাতীয় সংস্কৃতি, পেইন্টিং, বিভিন্ন যুগের ভারতীয় সংস্কৃতির নির্দশন। মহেঞ্জোদারো-হরপ্পা সভ্যতার কিছু প্রস্তর মুদ্রাও রয়েছে। বিশ্বকবি রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিভিন্ন কাব্যগ্রন্থ নিয়ে সাজানো রবিন্দ্র গ্যালারী।
বাংলাদেশের পর্যটকদের কাছে সবচেয়ে আর্কষণীয় হলো বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ গ্যালারী। এ গ্যালারীতে সাজানো আছে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে বাংলাদেশ থেকে আসা শরণার্থীদের ছবি। ততকালীন ফটো সাংবাদিক রবিন সেনগুপ্তের এসব দুর্যোগকালীন সময়ের ছবিতে ফোটে ওঠেছে শরণার্থীদের দু:খ-দুর্দশার চিত্র। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ থেকে আসা তরুন মুক্তিযুদ্ধাদের প্রশিক্ষণ ও বিভিন্ন অপারেশনের ছবি। এছাড়াও এই গ্যালারীতে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত দৈনিক পত্রিকা। দৈনিক বাংলা, আজাদ, সংবাদসহ সে সময়ের পত্রিকাগুলো সাজানো আছে। বঙ্গবন্ধুর ৭মার্চের ভাষনের প্রতিকৃতি সাজানো রয়েছে গ্যালারীটিতে।
      (Gallery of Tripura museum)
      Source:- google

 (রবি ঠাকুরের সাথে ত্রিপুরা র মহারাজা)
(মহারাজা ধ্যুন্য মানিক্যের মুদ্রা)

জাদুঘরের গ্যালারিগুলো প্রত্নতত্ত্ব, উপজাতীয় সংস্কৃতি, পেইন্টিং, বিভিন্ন যুগের ভারতীয় সংস্কৃতির নির্দশন হিসেবে ভাগ করা। কেবল ত্রিপুরা নয়, গোটা উত্তর পূর্বাঞ্চল তো বটেই, তাবৎ ভারতসহ বিভিন্ন সভ্যতার নির্দশন আছে এখানে। এমনকি দেখা গেলো মহেঞ্জোদারো-হরপ্পা সভ্যতার কিছু প্রস্তর মুদ্রাও।

       

পশ্চিম ত্রিপুরার বক্সনগর, দক্ষিণ ত্রিপুরার পিলাক, গোমতীর অমরপুর ও ছবিমুড়া, উত্তরের উনকোটি ইত্যাদি স্থানে পাওয়া অনেক প্রস্তর মূর্তিও এনে সাজিয়ে রাখা হয়েছে বিভিন্ন গ্যালারিতে। আছে গাছের জীবাশ্ম, প্রেট্রোলিয়াম আর প্রাকৃতিক গ্যাসের মানচিত্র। আছে বিভিন্ন যুগের চারু ও কারু শিল্পের অনেক নিদর্শন। বিভিন্ন স্থানে প্রত্নতাত্ত্বিক খননে পাওয়া সোনা, রূপা আর তামার মুদ্রাও আছে। মৃৎশিল্পের পাশাপাশি পোড়ামাটি ও ব্রোঞ্জ নির্মিত মূর্তি ছাড়াও আদিম যুগের বেশ কিছু শিলালিপি দেখা গেলো গ্যালারিতে। আনিন্দসুন্দর তৈল চিত্র এবং বস্ত্র আর অলঙ্কারে জ্বলজ্বল করছে কোনো কোনো গ্যালারি।

বাংলাকাহিনী আর সংস্কৃত মহাকাব্যের সংগ্রহও আছে বেশ। আছে দীর্ঘ সময় ত্রিপুরা শাসন করা মাণিক্য রাজবংশের রাজাদের চিত্র ও ইতিহাস।


রাতে উজ্জয়ন্ত্য প্রাসাদ

অবসর সময় কাটানোর জন্য ত্রিপুরা রাজ্যটি অন্য জায়গা থেকে বেস্ট। কুলাহলমুক্ত পরিবেশ, পরিস্কার পরিছন্ন শহর এবং স্বল্প খরচে এখানে বেড়ানো যায়। এখানকার উজ্জয়ন্ত প্রাসাদ পর্যটকদের কাছে আর্কষণীয়। এ প্রাসাদের জাদুঘর, দিঘী, মন্দিরে সম য় খুব ভালো ভাবেই কাটানো যায়। এখানকার জাদুঘরটিতে দুষ্পাপ্য অনেক জিনিস দেখা যায়। জাদুঘরটি দেখলে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানা যায়। তবে অনেকের অভিমত যদি  সেটা হলো প্রাসাদের প্রবেশ মূল্য ভারতীয়দের জন্য ১৫ টাকা আর বিদেশীদের জন্য ১৫০ রুপি। বিদেশ থেকে এখানে অনেক পর্যটক আসেন তাই তাদের অভিমত প্রবেশ মূল্য ভারতীয়দের সমান করলে ভালো হতো। অথবা সার্কের অন্তর্ভুক্ত দেশের পর্যটকতের জন্য প্রবেশ মূল্য ভারতীয়দের সমান করলে ভালো হয়।


লেখক :- Prasenjitjitsblogg.blogspot.comউজ্জয়ন্ত প্রাসাদউজ্জয়ন্ত প্রাসাদ, ত্রিপুরা আগরতলা. Ujjayanta Palace Tripura Agartala. NE north East best and big museum of india. উজ্জয়ন্ত প্রাসাদ, ত্রিপুরা আগরতলা. Ujjayanta Palace Tripura Agartala. NE north East best and big museum of india and gallery of Tripura museum. উত্তর পুর্ব ভারতের বৃহত্তম জাদুঘর

Comments

Post a Comment

Popular posts from this blog

প্লাস্টিক এর কারণে আমাদের যে ক্ষতি হচ্ছে এবং প্রাণী কুলের অ এর জে কী মারাত্মক প্রভাব পড়ছে এই ছবি গুলির মধ্যয়েই ফুটে উঠেছে।

দুষ্ট মিষ্টি একটি ভালোবাসার গলপো। আসা করি ভালো লাগবে